বশীকরণ তন্ত্রসার 1

বশীকরণ তন্ত্রসার

দেবাদিদেব মহাদেব যাহা মহামায়া আদ্যাশক্তির নিকট কীর্তন করিয়াছিলেন, মনীষীগণ তাহাই জগতের হিতার্থে  সংসার মাঝে ব্যক্ত করিয়াছেন | শান্তিকর্ম্ম, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষন, উচ্চাটন, মারণ এই সর্ববিধ কর্ম্ম শট কর্ম্ম নামে অভিহিত | ইহার দ্বারা মানবগণ অনায়াসে অলৌকিক কার্য্য সাধন করিতে পারে, তবে শাস্ত্রোক্ত নিয়মে এই সকল কার্য্য করিলে সদ্যফল লাভ করা যায় |

যাহাদের দেবতা ও মন্ত্রে বিশ্বাস আছে , তাহারা এই শট কর্ম্ম এর সাহায্যে মানব বুদ্ধির অতীব অত্যত্ভুত ব্যাপার সুসম্পন্ন করিতে পারে এবং  কখনোই ফল লাভ ব্যর্থ হন না |

বশীকরণ তন্ত্রসার

বশীকরণ

দেবী – বাণী |

কাল – ( দিবার প্রথম দশ দণ্ড ) |

দিক – পূর্বমুখ |

আসন – স্বস্তিকাসন |

মুদ্রা – পাশমুদ্রা |

তত্ত্ব – বহ্নিতত্ত্ব  |

মন্ত্র শেষে যুক্ত – স্বাহা |

যথাবিধি ন্যাস, প্রাণায়াম ভূতশুদ্ধি প্রভৃতি সমাপ্ত করে সাধ্যমত উপচারে দেবী বাণীর পূজা করে কর্ম করাই শাস্ত্র সম্মত |

বিঃ দ্রঃ –  সাধারণতঃ কোনও স্ত্রী বা পুরুষকে বশ করার জন্য বশীকরণ প্রয়োগ  হয় | আবার অনেক ক্ষেত্রে – বেশ্যা , শত্রু , রাজা , রাজকর্মচারী , প্রভু প্রভৃতিকেও বশ করার জন্য এটি প্রয়োগ করা হয় |

এই বশীকরণ প্রয়োগ সিদ্ধি নিম্নলিখিত ভাবে করতে হবে |

যথা -” ওঁ অস্য শ্রীবামদেব মন্ত্রস্য সন্মোহন ঋষি: | গায়ত্রীচ্ছন্দ: , শ্রীকামদেব দেবতা অমুকবশ্যার্থে জপে বিনিয়োগঃ|

উপরোক্ত মন্ত্রে যেখানে অমুক শব্দ আছে , সেখানে অভিলষিত স্ত্রী বা পুরুষের নাম উচ্চারণ করবেন | তারপর নিম্ন মন্ত্রে ষড়ঙ্গন্যাস করবেন | যথা –

অঙ্গন্যাস – ” কাং হৃদয়াং নমঃ, কিং শিরসে স্বাহা , কুং শিখাওই বসট, কৈয়ং  কবচায় হুঁ | কৌঙ নেত্রায় বৌষট | ক: কামদেব দেবতা অস্ত্রায় ফট |”

করন্যাস – ” কাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ , কিং তর্জনীভ্যাং স্বাহা , কুং মধ্যমাভ্যাং বসট , কৈঙ অনামিকাভ্যাং হুঁ ; কৌঙ কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট ; ক: কামদেব দেবতা অস্ত্রায় ফট |” এবার ধ্যান করবেন , যথা –

ধ্যান –  জপারুনং রক্তবিভূষণাঢ্যাং চ

মীনধ্বজং চারুকৃতঙ্গরাগম |

করাম্বুজৈরংকুশমিক্ষু  চাপং ,

পুষ্পাস্ত্রপাশৌ দধতং নমামিঃ |

এইরূপে ধ্যান করে নিম্নলিখিত মন্ত্র ৫০০০ (পাঁচ হাজার) সংখ্যা জপ করবেন |

মন্ত্র – ‘ ওঁ কামদেবায় সর্বজন প্রিয়ায় সর্বজন সম্মোহনায় জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল সর্বজনস্য হৃদয়ম মম  বশ্যং কুরু কুরু স্বাহা |’

জপ শেষ করে লাল রক্তকরবী পুষ্পে চামেলী আতর মাখিয়ে দশাংশ অর্থাৎ ৫০০ শত হোম করবেন |

অতঃপর বটুকগণের প্রসন্নতা লাভের জন্য কমপক্ষে তিনটি বালক ভোজন করবে এবং উপরোক্ত মন্ত্র দ্বারা চন্দনকে ১০৮ বার অভিমন্ত্রিত করে , সেই তিলক বালকদের কপালে দিবে | এবার যে ব্যক্তিকে বশ করতে হবে , তার কথা মনে মনে চিন্তা করে বালকের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে | মনে করতে হবে , যেন অভিলষিত ব্যক্তির সঙ্গেই  কথা বলছি , তাহলেই সেই ব্যক্তি অবশ্য বশীভূত হবে , এতে সন্দেহ নাই |

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
কালসর্প দোষ কাটান

কালসর্প দোষ কাটাবেন কীভাবে ?

পুরাণ মতে মহর্ষি কাশ্যপের পুত্র হলেন কেতু | লক্ষীলাভের জন্য দেবতা আর অসুররা সমুদ্র মন্থনে ব্যস্ত | কিন্তু শুভ শক্তি আর অশুভ শক্তির মিলন বা

মাঙ্গলিক দোষ কাটান

মাঙ্গলিক দোষ কাটাবেন কীভাবে ?

মাঙ্গলিক বা ভৌমদোষ জন্মরাশিচক্রে মঙ্গলের অবস্থান অনুসারে মাঙ্গলিক দোষের সৃষ্টি হয় | মঙ্গল হল এই দোষের কারক | মঙ্গলের স্বরূপগত পরিচয় কী ? মাঙ্গলিক দোষ

Scroll to Top